ওষুধ ব্যবহারের আগে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়
কোন অসুস্থ ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোন ওষুধের দোকানে গিয়ে নিজের ধারণা বা অনুমানমত ওষুধ কেনা কখনও উচিত নয়। যদি কেউ এ ধরনের অনুচিত কাজ করেন তাহলে এর শারীরিক ক্ষতি ও পরিণাম ভয়াবহ।
এছাড়াও যে ফার্মাসিস্ট ওষুধের দোকানে কাজ করেন তারও উচিত নয় কোন রোগী/ব্যক্তি প্রেশক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ যেমন হার্টের ওষুধ, এন্টিবায়োটিক ইত্যাদি ক্রয় করতে এলে সহযোগিতা করা। এগুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকা ফার্মাসিস্টের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বরং ফার্মাসিস্টের কাজ হলো রোগীকে বুঝিয়ে ডাক্তারের কাছে পাঠানো, কারণ একমাত্র ডাক্তার সাহেবই যেকোন রোগের কারণ বুঝতে পারেন এবং রোগের ধরন অনুযায়ী ওষুধ নির্ধারণ করতে পারেন। আইনগতভাবে ডাক্তাররা হচ্ছেন একমাত্র স্বীকৃত পেশাজীবী যারা রোগ নির্ণয় ও ওষুধের নাম, মাত্রা ও ব্যবহারের মেয়াদ নির্ধারণ করে থাকেন। অন্যদিকে ফার্মাসিস্টদের কাজ হচ্ছে কোন ব্যক্তি প্রেশক্রিপশন নিয়ে দোকানে উপস্থিত হলে মান সম্পন্ন ওষুধ, ওষুধ খাওয়ার নিয়মাবলি, ওষুধ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে রোগীকে বিশদ ধারণা দিয়ে রোগীকে সাহায্য করা। উদাহরণস্বরূপ, জন্ডিসের সময় কেউ প্যারাসিটামল গ্রহণ করলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে, কিংবা ভিটামিন-সি। বেশি করে খেলে উপকারের বদলে অপকারই বেশি।
রোগ নিরাময় অথবা উপশমের জন্য যেসব রাসায়নিক যৌগ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয় তাকে ওষুধ বলে। ওষুধ হচ্ছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক যৌগ। ওষুধের ব্যবহার নির্ভর করে ডাক্তার, রোগী ও ফার্মাসিস্টের সম্পর্কের উপর। অর্থাৎ একজন মানুষ অসুস্থতাবোধ করলে প্রথমে দেখা করবেন ডাক্তারের সাথে। রোগীর অসুস্থতার কারণ অর্থাৎ রোগ নির্ণয় এবং এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র লিখবেন ডাক্তার। উক্ত ব্যবস্থাপত্রে কোন কোন ওষুধ, ওষুধের ডোজ, দিনে কয় বার, কত দিন ধরে ব্যবহার করতে হবে সেগুলো ডাক্তার সাহেব লিখে দেবেন। এছাড়াও তিনি পথ্য নির্দেশনা কখনও ব্যবস্থাপত্রে লিখে অথবা মৌখিকভাবে বলে দেবেন।
ডাক্তার সাহেব রোগীর জন্য ব্যবস্থাপত্র লেখার পূর্বে রোগীর বয়স, ওজন, রোগীর মূল সমস্যাগুলি, রোগের ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় জেনে নেন। ওষুধের পরিমাণ (ডোজ) নির্ণয়ের জন্য রোগীর বয়স ও ওজন জানা অত্যাবশ্যক। কারণ, বয়সের তারতমোর/ পার্থক্যের উপর ওষুধের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
Comments
Post a Comment