পেশা হিসেবে ফার্মাসিস্ট
পেশা হিসেবে ফার্মাসিস্ট
যেসব স্বাস্থ্য পেশাজীবী সরাসরি ওষুধ নিয়ে কাজ করেন মূলত তারাই ফার্মাসিস্ট হিসেবে বিবেচিত। ফার্মাসিস্ট পেশার অন্তর্ভূক্ত কাজের মধ্যে রয়েছে ওষুধ তৈরি, ডিসপেন্সিং, রোগীকে ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান, ওষুধবিষয়ক সচেতনতা তৈরি, ওষুধ সংরক্ষণ, ওষুধ পরিবহন প্রভৃতি কর্মকাণ্ড। একজন ফার্মাসিস্টের সাধারণ দায়িত্বের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্যতম-
👉রোগীকে গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ প্রদান করা;
👉নিয়মনীতি মেনে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা;
👉ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীকে সঠিক ওষুধ প্রদান করা;
👉ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণের নিয়মাবলি রোগীকে সঠিকভাবে জানানো;
👉সকল ওষুধ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা, বিশেষভাবে সংরক্ষণযোগ্য ওষুধের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ;
👉মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ডিসপেন্স/বিক্রি না করা;
👉রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওষুধ গ্রহণে উৎসাহিত করা।
একজন ফার্মাসিস্ট কমিউনিটি ফার্মেসীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে পারেন। কমিউনিটি ফার্মেসী হল স্বাস্থ্য সেবার প্রথম ধাপ। এই বিষয়ে পরবর্তী সেশনগুলোতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এছাড়াও ফার্মাসিস্টরা ওষুধ উৎপাদন, ওষুধ বাজারজাতকরণ, ওষুধ গবেষণা, ওষুধ প্রশাসন প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন।
Comments
Post a Comment