Posts

Showing posts from September, 2023

এনজিও (NGO)

Image
বাংলাদেশে সরকার নিবন্ধিত প্রায় ৪০০ (চারশত) এন.জি.ও. বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিভিন্নভাবে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে নানাবিধ কাজ করছে। এসব সংস্থা, বিভিন্ন দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা থেকে তাদের অর্থ যোগান নিশ্চিত করে এবং বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় নানাবিধ কর্মসূচি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনা করে।  বাংলাদেশে কার্যরত এন.জি.ও.দের মধ্যে নিম্নোক্ত সংস্থাগুলি বিশেষভাবে পরিচিতঃ সেভ দ্যা চিলড্রেন: * এমএসএইচ; * গ্রামীণ ব্যাংক; * ব্র্যাক; * টিএমএসএস; * আশা; * কারিতাস ইত্যাদি।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-jicA

Image
জাপান সরকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানাবিধ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। তারা শিশু স্বাস্থ্য, প্রসূতিকালীন স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে সর্বাধিক অর্থসাহায্য প্রদান করে থাকে । এছাড়াও অন্যান্য নানাবিধ দ্বি-পাক্ষিক সংস্থা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন রকম সাহায্য যেমন অর্থ সাহায্য, কারিগরি সাহায্য, মানব সম্পদ উন্নয়ন সাহায্য ইত্যাদি প্রদান করে।

ইউকেএইড (Ukaid)

Image
এই সংস্থা বিভিন্ন দেশে তাদের নির্বাচিত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে অর্থ সাহায্য প্রদান করে।  মূলত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ফার্মেসী সেবা বিষয়ক ক্ষেত্রে এসব অর্থ সাহায্য প্রদান করে ।

ইউএসএইড (USAID)

Image
এই সংস্থা বিভিন্ন দেশে তাদের নির্বাচিত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে অর্থ সাহায্য প্রদান করে।  মূলত জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্ষেত্রে এসব অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয়। সংস্থাটি বাংলাদেশে নারীদের প্রসূতিকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং এই ঝুঁকি হ্রাসে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে নানাবিধ প্রকল্প পরিচালনা করে।

দ্বি-পাক্ষিক সংস্থা

Image
দ্বি-পাক্ষিক সংস্থা:  এই ধরনের সংস্থাগুলি বিভিন্ন দাতা উন্নত দেশের অর্থ সাহায্যে গঠিত এবং তারা বিভিন্ন উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব সংস্থার অর্থ সাহায্য নির্ভর করে দাতা দেশের রাজনৈতিক ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর। বাংলাদেশে কর্মরত দ্বি-পাক্ষিক সংস্থাগুলির মধ্যে নিম্নোক্ত সংস্থাগুলি মূল ভূমিকা পালন করে। ইউএসএইড; ইউকেএইড; জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)

Image
এটি মূলত এইডস্, মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার বিষয়ে কাজ করে থাকে। এর বাজেটের প্রায় ২০ ভাগ প্রদান করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বিষয়ক খাতে।  এছাড়াও এই সংস্থাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় (ট্রপিক্যাল) জীবাণুদের বিষয়ে গবেষণামূলক ও প্রশিক্ষণমূলক প্রকল্প পরিচালনা এই সংস্থা বাংলাদেশে এইডস্ আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। এছাড়াও পরিবেশ সংক্রান্ত নানাবিধ প্রকল্প তারা পরিচালনা করছে।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ তহবিল (UNFPA)

Image
জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা মূলত উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহে বেশি প্রকট। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়, বরং এই সমস্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ।  জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে এ সংস্থাটি বিভিন্ন দেশে আর্থিক ও নানাবিধ কারিগরি সাহায্য প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাথে এই সংস্থাটি বেশ কিছু প্রকল্প পরিচালনা করে। এই সংস্থাটির মোট বাজেটের শতকরা ৫০-৬০ ভাগ অর্থ ব্যবহার করা হয় কারিগরি সুবিধা প্রদানে। এই সংস্থাটি তার বাজেটের শতকরা ৭০ ভাগ অর্থই প্রদান করে অনুন্নত দেশগুলিতে। ১৯৭৪ সাল থেকে এই সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে নানাবিধ কারিগরি ও পণ্য সহযোগিতা (যেমন: জন্মনিরোধক পিল, কনডম ইত্যাদি) প্রদান করে আসছে। সংস্থাটি বাংলাদেশে মূলত প্রজনন স্বাস্থ্য ও মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে।