Posts

Showing posts from April, 2023

ইমহোটেপ (Imhotep)

Image
ঐতিহাসিকরা ইমহোটেপ নামে খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২৭২৫ সালে (অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৪৭৪৭ বছর আগে) জন্মগ্রহণকারী মিশরের একজন বিখ্যাত চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছেন যিনি মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য মমি তৈরির কৌশল আবিস্কার করেন।  পিরামিডের ভেতরে যে মমি পাওয়া যায় তা তিনি তৈরি করেছিলেন বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন। অসামান্য প্রতিভার ইমহোটেপ ছিলেন একজন মিশরীয় সম্রাট বা ফারাও। কিন্তু তিনি অতি সাধারণ পোশাক পরতেন এবং সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তিনি ইতিহাসে একাধারে প্রথম স্থপতি, প্রথম প্রকৌশলী এবং প্রথম চিকিৎসক হিসেবে বিবেচিত। অনেক প্রাচীন কালের হওয়াতে তাঁর কর্মকান্ডের ব্যাপক বিবরণ পাওয়া যায় না। এবারস্ প্যাপিরাস অনুযায়ী তিনি অনেক গাছগাছড়া ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করেছেন যার মধ্যে এসফাটিল্ডা, খেজুর, রসুন, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি রয়েছে। তিনি যুদ্ধে আহত সৈন্যদের হাড় জোড়া লাগানোর জন্য বিশেষ ব্যান্ডেজ ও লতাগুল্ম ব্যবহার করতেন। আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ইমহোটেপ কিভাবে এত জটিল চিকিৎসা করতেন তা ভাবতে বিস্ময় জাগে।

ওষুধ কি? (What is medicine?)

Image
অসুখ হলে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কিছু ওষুধের নাম লিখে দেন। আমরা সেই সব ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠি। তাই সাধারণভাবে বলা যায় যে, যা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা রোগমুক্ত হই তাই ওষুধ। ওষুধটি কেমন হবে তা নির্ভর করে আমরা কোন ধরনের ডাক্তারের কাছে যাই তার ওপর। এ্যালোপ্যাথি ডাক্তার সাধারণত ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা সিরাপ খেতে দেন। অন্যদিকে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার দেন সাদা মিষ্টি পাউডারের পুরিয়া, ছোট ছোট সাদা দানার মত বাড় বা কোন তরল যা ড্রপারে করে এক বা দুই ফোঁটা খেতে হয়। আবার কবিরাজ দেন বিদঘুটে স্বাদের লতাপাতার মিশ্রন। যে ধরনের ডাক্তারের কাছেই আমরা যাই না কেন, প্রত্যেকেই কিছুনা কিছু ওষুধ দেন আরোগ্য লাভের জন্য। সুতরাং বলা যায় যে, ওষুধের উদ্দেশ্য একটাই- রোগমুক্তি । চিকিৎসাশাস্ত্র ওষুধের সংজ্ঞা দেয় আরেকটু ব্যাপকভাবে। এই মতে, সুস্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ, রোগ প্রতিরোধ এবং অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য আমরা যা যা করি তার সবই ওষুধের অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণস্বরূপ একজন ডায়াবেটিস রোগীর কথা ধরা যাক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি মুখে ওষুধ খান, সকাল বিকাল ১ ঘন্টা করে হাঁটেন, চিনি বা মিষ্টিজ

ওষুধের ইতিহাস

Image
প্রাচীনকালে মানুষ রোগমুক্তির জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করতো তার অধিকাংশই ছিল ভেষজ । ভেষজ ওষুধের ইতিহাস মানব সভ্যতার মতই পুরোনো। বিভিন্ন প্রাচীন নথি-পত্রে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, খ্রিস্টজন্মের বহু আগে থেকেই চীন, ভারত, মিশর,গ্রীস ইত্যাদি সভ্যতায় গাছ-গাছড়া, লতাপাতা থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা হতো।  এবারস্ প্যাপিরাস' (Ebers' Papyrus ) হল এমনই এক প্রমাণ যা খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১৬০০ বছর আগে লিখিত। এটি একটি ৬০ ফুট লম্বা এবং ১ ফুট চওড়া কাগজের স্ক্রল যা অনায়াসে গুটিয়ে রাখা যায় । এতে আছে বিভিন্ন ধরনের ৭০০টি ওষুধের বর্ণনা এবং ৮০০টিরও বেশি ফর্মুলা যা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো। এ সব ওষুধের মধ্যে রয়েছে এমন সব বিভিন্ন ওষুধের বর্ণনা যার অনেকগুলোই এমনকি বর্তমান শতাব্দীতেও ব্যবহার করা হয়।

এপিএইচএ নীতিমালা ১৯৯৪ : ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস

Image
অ্যামেরিকান ফার্মাসিস্ট এসোসিয়েশনের (অ্যামেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল এসোসিয়েশন) সদস্য পদের মাধ্যমে অক্টোবর ২০ ১৯৯৪ তারিখে ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস গ্রহণ করা হয়। ফার্মাসিস্টগণ হচ্ছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবী যারা ব্যক্তি/রোগীকে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে সাহায্য করেন। এই কোড ফার্মাসিস্টদের দ্বারা তৈরি হয়েছে ও তাদের সমর্থনপুষ্ট । এই মূলনীতিসমূহ গঠিত হয়েছে নৈতিক বাধ্যবাধকতা ও গুণের উপর ভিত্তি করে, যা ফার্মাসিস্টদের রোগী, স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও সমাজের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পথ দেখাবে। ১. একজন ফার্মাসিস্ট, তার ও রোগীর মধ্যকার অর্জিত সম্পর্ককে সম্মান করবেন। ফার্মাসিস্ট এবং রোগীর সম্পর্ক বিবেচনায় রেখে বলতে হয় যে একজন ফার্মাসিস্টের সমাজের কাছ থেকে পাওয়া উপহার স্বরূপ 'বিশ্বাস' রক্ষায় কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এই উপহারের পরিবর্তে তিনি প্রত্যেককে আলাদা ভাবে। সাহায্য করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যাতে ওষুধ প্রয়োগের ফলে ব্যক্তি/রোগী সর্বোচ্চ উপকার পায়। তারা রোগীদের কল্যাণ এবং বিশ্বাস ধরে রাখতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন। ২. একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর প্রতি যত্নবান, দয়

গ্রেড 'সি' ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসী টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য

Image
১। সরকার অনুমোদিত স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মডেল মেডিসিন শপ পরিচালনা করা, ২। গুড ডিসপেন্সিং প্রাকটিস (GDP) অনুসরণ করে মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ বিক্রয় করা, ৩। মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ ডিসপেন্সিং এর সময়ে কাউন্সিলিং করা, ৪। মডেল মেডিসিন শপে ওষুধের মজুদ ব্যবস্থাপনা করা, ৫। ক্রেতাকে ওষুধ দেয়ার সময় নিয়ম মেনে লেবেলিং করা, ৬। ঔষধ প্রশাসনের ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা, ৭। ঔষধ প্রশাসনের নোটিসে প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে চলা এবং তা সংরক্ষণ করা, ৮। ঔষধ প্রশাসন কোনো ওষুধ নিষিদ্ধ করলে তা বিক্রি না করা; ৯। ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবস্থাপনা করা, ১০। অননুমোদিত, নকল, ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় না করা, ১১। মডেল ফার্মেসীতে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট-এর সহকারী হিসাবে কাজ করা। 

ফার্মাসিউটিক্যাল বিন্যাস (Pharmaceutical Formulation)

Image
১. সরকারি ক) সিএমএসডি-র মাধ্যমে ক্রয় ও বন্টন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধীনে সকল ধরনের ওষুধ, চিকিৎসা বিষয়ক ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করা, গ্রহণ করা, স্টোর ও বন্টন করার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো মূল দায়িত্ব পালন করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং অন্যান্যদের এবং দুর্যোগ ও জরুরী অবস্থায় সিএমএসডি সহায়তা দিয়ে থাকে। খ) হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট দ্বারা সরাসরি ক্রয় করা ২. প্রাইভেট প্রাইভেট সেক্টরে সারা দেশে ওষুধ বন্টনের জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা হয়: উৎপাদকের কাছ থেকে হাসপাতাল ও খুচরা ওষুধের বাজারে সরাসরি বন্টন; উৎপাদকের কাছ থেকে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার কাছে বা হাসপাতালে সরাসরি বন্টন; পাইকারী থেকে খুচরা বিক্রেতা।